যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট প্রসঙ্গে র‍্যাব জানিয়েছে, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগে’র ভিত্তিতে তাঁকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে আটক করা হয় সম্রাটকে। ওই উপজেলার একটি গ্রামে লুকিয়ে ছিলেন সম্রাট। সম্রাটের পাশাপাশি তাঁর সহযোগী আরমানকেও আটক করেছে র‍্যাব। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ তথ্য দিয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার-বিন-কাশেম জানান, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগে’র ভিত্তিতে ভোর ৫টার দিকে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে এ দুজনকে আটক করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক প্রতিনিধি জানান, সম্রাট আলকারা ইউনিয়নের কুঞ্জ শ্রীপুর গ্রামে পরিবহন ব্যবসায়ী মনির হোসেনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সরকার সম্রাটের বিদেশ ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সরকারের চলমান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের কারণে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির মধ্যেই ছিলেন সম্রাট। এ সময়ের মধ্যে তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাও চালিয়েছিলেন—এমন সংবাদ প্রচার করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ আয়ের জন্য ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের নামও উঠে আসে। অভিযানের প্রথম দিন থেকেই সম্রাট শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে কাকরাইলে তাঁর নিজ কার্যালয়ে অবস্থান নেন। পরে তাঁর অবস্থান ও আটক নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘সম্রাট হোক আর যেই হোক, তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।’ এর একদিন পর সম্রাটকে আটক করল র‍্যাব।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here