ভারতের সীমান্তে চরম উত্তেজনার মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিশ্বব্যাপী আলোড়নসৃষ্টকারী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তার ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তার পরিবর্তে আবারও দেশটিতে সেনা শাসন চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অতিসম্প্রাতিক সময়ে পাকিস্তানের কিছু সেনা কর্মকর্তার কার্মকানণ্ড পর্যাবেক্ষণ করে এমন আভাস দিয়েছেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
জানা গেছে,পাকিস্তান সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া একটি গোপন বৈঠক সেরেছেন। সেই বৈঠকে ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতিরা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে উপস্থিত ছিলেন না পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
এই বৈঠকের পরেই পাক সেনার সমস্ত বিভাগের কর্মী ও জওয়ানদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। তাদের প্রত্যেককে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ১১১ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের সব অফিসারদেরও এই একই নির্দেশ পাঠানো হয়।
যদিও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশন বা আইএসপিআর জানিয়েছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষার স্বার্থেই এই বৈঠক।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যদি তাই হয়, তবে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কেন বাদ দেশের প্রধানমন্ত্রী? বুধবার রাওয়ালপিণ্ডিতে জেনারেল বাজওয়া এই বৈঠক করেন। যদিও জানানো হয়েছিল একটি সেমিনারে যোগ দিতে গিয়েছেন তিনি।
ইন্টারপ্লে অফ ইকনমি অ্যাণ্ড সিকিওরিটি শীর্ষক ওই সেমিনারেই যোগ দিয়েছিলেন দেশের তাবড় শিল্পপতিরা। তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাজওয়া। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না ইমরান খান। পাক ইতিহাস বলছে, পাকিস্তানে সেনা অভ্যুত্থান মোটেও নতুন ঘটনা নয়।
১৯৫৮, ১৯৬৯, ১৯৭৭ ও ১৯৯৯ সালে মোট চারবার এই দেশ সেনা অভ্যুত্থানের সাক্ষী ছিল। বাজওয়ার এই বৈঠক ঘিরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা। পাক সেনা নতুন ভাবে কিছু করতে চাইছে ও দেশের শাসনতন্ত্রে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশ নিতে চাইছে, এমনই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।