সরকারি চাকরিজীবীদের জীবনমান আরও উন্নত করতে আবারও তাদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। শুক্রবার রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে এ কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্প এবং বিসিকের যৌথ আয়োজনে ‘বিসিকের কর্মকাণ্ড গতিশীল করার লক্ষে বিসিকের প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা’ শীর্ষক ২ দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে দেশের কল্যাণে প্রতিটি মুহূর্ত পরিশ্রম করার আহ্বান জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের জীবনমান আরও উন্নয়নে তাদের বেতন ভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: অপরাধ করলেও চাকরিচ্যুত হবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা!
তিনি আরও বলেন, ‘রুপকল্প ২০২১ লক্ষ অর্জনে এবং ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্পকে বাদ দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব না। আর সমানে চুতর্থ শিল্প বিপ্লব হবে। তাই শিল্পায়ন, প্রবৃদ্ধি অর্জন, রুপকল্প ২০২১ অর্জন এবং শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে দেশে যে প্রচুর তরুণ রয়েছে তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য তাদের অর্থায়ন করাসহ সব রকমের সহয়তা দেবার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যবসা বাণিজ্য বিকাশ এবং উদ্যোক্তাদের সুযোগ করে দিতে নতুন শিল্প নীতি করা হয়েছে এবং এ লক্ষে সব রকমের সহায়তা করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলেও জানান মন্ত্রী।
বিসিকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘উদ্যোক্তা খুঁজে বের করে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরিতে বিসিকের কর্মকর্তাদের সক্রিয় ভাবে পরিশ্রম করে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল হালিম বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিকের প্রকল্প পরিচালক এবং শিল্পাঞ্চলের কর্মকর্তাসহ সব কর্মকর্তাদের নিষ্ঠা ও সদিচ্ছার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তাহলে কর্মকাণ্ডে গতি আসবে এবং প্রকল্পগুলো সময়মত বাস্তবায়ন হবে।
অনুষ্ঠানে বিসিকের চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান জানান, বিসিককে নতুন করেও সাজাতে এবং গতিশীল করার লক্ষে বেশ কিছু পদক্ষেপ ও সংস্কারমূলক কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
চামড়া শিল্প নিয়ে যে বদনাম ছিলো তা এখন আর নেই উল্লেখ্য করে বিসিকের চেয়ারম্যান জানান, ৬ মাসের মধ্যে ঔষধ শিল্প পার্ক পুরোপুরি চালু করে ঔষধের কাঁচামাল উৎপাদন শুরু করা হবে। একইসাথে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করাসহ শিল্প প্লট বরাদ্দ এবং সহজ শর্ত ও অল্প সুদে ঋণ প্রদানও করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিক।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রিজম প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুস ছালাম ও প্রিজম প্রকল্পের টিম লিডার আলী সাবেত। এ কর্মশালায় বিসিকের প্রায় ২৩০ জন কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করছেন। আগামীকাল এ উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা শেষ হবে।