প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতি নিয়ে এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সূত্রের বরাত জানা গেছে, সরকারি প্র্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের যারা বর্তমান দায়িত্বে রয়েছেন তাদের দ্রুতিই প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এ কারণে নতুন করে এ পদে কোন নিয়োগ দেওয়া হবে না।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের ১১তম গ্রেডে বেতন-ভাতা সুবিধা দেয়া হবে।

মন্ত্রণালয় বলছে, ইতোমধ্যে বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না দিতে সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি হস্তান্তর করার সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এর স্বপক্ষে যৌক্তিক কারণ জানতে চেয়েছে পিএসসি। এ বিষয়ে কর্মকমিশনকে লিখিত জবাবও দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সরকারের অন্যান্য সংস্থার পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া রয়েছে বলে জানানো হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলছেন, এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি। আগে ৬০ ভাগ প্রধান শিক্ষক পদোন্নতির ভিত্তিতে এবং ৪০ ভাগ পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হতো। এখন শতভাগ পদোন্নতির ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে।

এদিকে, প্রত্যেক স্কুলে একটি করে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হবেন। এ ব্যাপার সব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই এটি ফাইন্যান্সে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

আদালতে মামলাজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ কারণে শূন্য আসনের বিপরীতে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষক পদে চলতি দায়িত্বে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে চলতি দায়িত্বে থাকা এ সকল শিক্ষকদের মূল বেতনের অতিরিক্ত আরো ১৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে আর কোনো সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। খুব শিগগির তারা সুখবর পেত যাচ্ছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here