সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ উপাচার্যসহ বিভিন্ন দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে তালাবদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে আলোচনার মাধ্যমে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে ৩ ঘণ্টা পর মুক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের চার তলার কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বার্ষিক বাজেট পাস ও মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত সাধারণ সভায় যোগদান করতে এসে তিনি তোপের মুখে পরেন।

এছাড়াও ক্যাম্পাসে ব্যবসায় প্রশাসন ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের সমস্যা এবং ছাত্র সংসদের বাজেটের নামে তামাশার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।

প্রতিশ্রুতির আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গণবিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) মো. জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. নজরুল ইসলাম রলিফ, সাধারণ ছাত্র পরিষদের রনি আহমেদ, মাহবুবুর রহমান রনি, শেখ খোদারনুর রনিসহ অনেকেই।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্দেশে গণবিশ্ববিদ্যালয় ভিপি জুয়েল রানা বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা নিয়ে নাটক শুরু করেছেন। শুধু আপনার জন্য বৈধ উপাচার্য, ব্যবসায় প্রশাসন ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আপনি আজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে কোনো সমাধান না দেয়া পর্যন্ত আটক থাকবেন।

উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান, দুপুরের দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছিলেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সময় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) তার কাছে উপাচার্যের বৈধতা, বিবিএ ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের সমস্যা, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বাজেট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসপেক্টাস না মানাসহ বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

তবে এ সব প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি প্রশাসনিক ভবনে কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। পরে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সেই রুমটি তালাবদ্ধ করে দেন।

তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েও তার কোনো প্রতিফলন শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করতে না পারায় এবং বিভিন্ন বিভাগের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ফলপ্রসূ ভূমিকা না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো লিখিতভাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেয়া হয়েছে। দাবি না মানা হলে তালা খোলা হবে না।

এ সময় ওই কক্ষে ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী বাবু, সিনিয়র সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মদ মোকাম্মেল, জনসংযোগ কর্মকর্তা শিরিন সুলতানাসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে বিকাল ৫টার দিকে তিনি মুক্ত হন।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শিরিন সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সব সমস্যার প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে মুক্ত করেন শিক্ষার্থীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here