ইরানের ইসরামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান শহীদ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির নামাজে জানাজায় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ইরানি এই জেনারেলের নিজ শহর কেরমানে দাফনের আগে অনুষ্ঠিত জানাজায় পদদলনের ঘটনায় এ প্রাণহানি ঘটে।
এতে আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে বলে ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কেরমানে দেশটির জনপ্রিয় এই জেনারেলের জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেয়।
এর আগে সোমবার রাজধানী তেহরানে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
এতে অংশ নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিসহ অন্যান্যরা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানাজার সরাসরি সম্প্রচার করে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের স্থপতি হিসেবে পরিচিত কুদস ফোর্সের শীর্ষ এই জেনারেলকে বাগদাদ বিমানবন্দরের কাছে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়।
সোমবার সকালে যখন জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ ইনকিলাব চত্বরে পৌঁছায় তখন লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি নিহত এই জেনারেলের জানাজায় নেতৃত্ব দেন।
ইরাকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের অঘোষিত সেনাপতি ও দেশটির ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে চিরবৈরী ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরও চরমে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশোধ ও পাল্টা হামলার হুমকি দেয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিতও দিচ্ছেন অনেকে।
শুক্রবার ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যু হয়। এসময় তার সঙ্গে থাকা ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসসহ অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়।