ডেভিড ওয়ার্নার ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ট্রিপল সেঞ্চুরিতে হাঁকিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটসম্যান। তার নজর কাড়া এই পারফরম্যান্স এখন ক্রিকেট বিশ্বে আলোচিত। বিশেষ করে বল টেম্পারিং কান্ডের পর নিষিদ্ধ হওয়া এবং দাপটের সঙ্গে ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরে আসায় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছেন ওয়ার্নার।
অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ার্নার খেলেছেন ৩৩৫ রানের এই ম্যাজিকাল ইনিংস। এ ইনিংস খেলার পথে ওয়ার্নার প্রায় ২১ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হযেচ্ছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এমনই খবর প্রকাশ করেছে ওয়ার্নারকে নিয়ে। সময়ের হিসেবে ওয়ার্নার ক্রিজে ছিলেন ৯ ঘন্টার বেশি সময়। ১২৭ ওভার ক্রিজে ছিলেন, এ সময়ে বল খেলেছেন ৪১৮টি।
ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ব্যবহার করছে এনটিএইচ ডিগ্রি। এ প্রযুক্তির সাহায্যে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পর্যবেক্ষণ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাদের ভাষ্যমতে, পুরো ইনিংসটি শেষ করতে ওয়ার্নার দৌড়েছেন ২০.৯২ কিলোমিটার, যা ম্যারাথন দৌঁড়ের দূরত্বের প্রায় অর্থেক। ওয়ার্নারের ভাষ্যমতে, তার সাফল্যের বড় অস্ত্র তার ফিটনেস। আর ফিটনেস শতভাগ ঠিক রাখতে তার সবথেকে বড় প্রেরণা তার স্ত্রী।
‘আমি ফিটনেস নিয়ে গর্বিত। খেলার মধ্যে না থাকলে ট্রেডমিলে কাজ করি কিংবা দৌড়াই। আমার স্ত্রী দৌঁড়াতে প্রেরণা দিয়ে থাকে। তিনটি সন্তান নিয়ে আমরা প্রতিদিন সকালে উঠে ফিটনেসে নজর দিই, আমি এটা উপভোগ করি।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বলছে, নিজেকে এবং অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানদের মোট ১৪৬ বার ‘হাই ইন্টেনসিটি অ্যাক্সিলারেশন’-এ ছুটিয়েছেন ওয়ার্নার। সিঙ্গেলস-ডাবলস নিতে অনেক সময় স্প্রিন্টারদের মতো দৌঁড়েছেন এ ব্যাটসম্যান। নিজের এ সামর্থ্য বাড়াতে ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ার স্প্রিন্টের সেরা কোচ রজার ফাবরির সাহায্য নেন। তার সঙ্গে কাজ করে দৌঁড়ে ক্ষীপ্র হয়েছেন বলে বিশ্বাস করেন ওয়ার্নার।
‘আমরা ফিটনেস নিয়ে কাজ করার জন্য সময় বের করে নিই এবং আমি এটা সত্যিই খুব উপভোগ করি। এর পেছনে অনেক পরিশ্রম রয়েছে। দারুণ কিছু সময় কাটানোয় আমি সেই ফল ভোগ করতে পারছি এখন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here