মাঠে এবং বিভিন্ন বাজারজাত কোম্পানির কাছে বর্তমানে লবণ মজুদ প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টন রয়েছে জানিয়ে বিসিক-কক্সবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমেদ জানান, লবণের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কোন ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে গুজব সৃষ্টি করেও কোনো লাভ হবে না। কারণ আগামি এক মাসের মধ্যে শুরু হবে লবণ উৎপাদনের নতুন মৌসুম। ফলে বর্তমান দামের চেয়ে লবণের দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। উৎপাদন স্থলে মজুদকৃত লবণের দাম রয়েছে ক্রাসিং ছাড়া প্রতি ২ মণের দাম (৭৪ কেজি) ৫৫০ টাকা এবং ক্রাসিং করা ২ মণ লবণের দাম ৬২৫ থেকে ৬৩০ টাকা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), কক্সবাজার সূত্রে জানা গেছে, গত মৌসুমে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ১৬ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। তদস্থলে উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। এতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ। বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে চাষীদের কাছে ৪ লাখ ৫০ হাজার টন এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের অধীনে মজুদ রয়েছে আরো ২ লাখ টন লবণ। ফলে লবণের দাম বৃদ্ধির কোনো রকম সম্ভাবনা আপাতত নেই।
কক্সবাজার বিসিক’র উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাজারে কোথাও কোনো লবণের সংকট নেই। এবছর এমনিতেই আগাম উৎপাদন শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার ধুরং এলাকায় ইতিমধ্যে চাষীরা মাঠ থেকে লবণ তুলতে শুরু করেছে। আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে কোনা বৃষ্টিপাত না হলে লবণের ভরা মৌসুম শুরু হবে। এতে আরো দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় দেশে গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চক্রান্তে নেমেছে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল।
এদিকে বাজারে লবণের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই বলে জানিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকেও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাজারে লবণের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তার কোনো ভিত্তি নেই। এটি নিছক গুজব।
শিল্প মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা কম-বেশি এক লাখ মেট্রিক টন। অন্যদিকে লবণের মজুদ রয়েছে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন। সে হিসাবে লবণের কোনো ধরণের ঘাটতি বা সংকট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।