আজ চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম ক্রমাগত কমছে। দুদিনের ব্যবধানে দাম কমছে কেজিতে ৭০ টাকা। গত শনিবার আড়তে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ২শ থেকে ২৩০ টাকায়। রবিবার দাম কমে কেজিতে ১৭০ থেকে ২শ টাকায় নেমে আসে। আজ সোমবার দাম আরও কমে কেজি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন সবচে বিক্রিত মিয়ানমারের পেঁয়াজ দাম কমে আসায় চীন, মিশর ও তুরস্কের পেঁয়াজের দামও কমেছে। এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি দর ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়।
আড়তদাররা বলছেন, তিন কারণে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। একটি হচ্ছে, বিভিন্ন দেশ থেকে সরবরাহ আগের চেয়ে বেড়েছে, বিমানে করে পেঁয়াজ আসা এবং মানুষের পেঁয়াজ খাওয়া কমিয়ে দওয়ার জন্য বাজারে চাহিদা কমেছে।
বিষয়গুলো স্বীকার করে খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়ত হামিদুল্লাহ মিঞা মার্কেট কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস কালের কণ্ঠকে বলেন, এটা অস্বীকার করার জো নেই, মানুষ পেঁয়াজ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। এই কারণে বাজারে চাহিদা ব্যাপকভাবে কমেছে। ফলে আড়তদাররা চাইছে বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ দ্রুত ছেড়ে দিয়ে মুক্ত হতে।
তিনি বলছেন, দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম আড়তে কেজি ৭০-৮০ টাকা কমেছে। শনিবার মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজি ২১০ থেকে ২৩০ টাকায়, গতকাল সোমবার তা কমে কেজি ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম আরও কমবে।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজ খাতুনগঞ্জের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ, চীন, মিশর ও তুরস্ক মিলিয়ে মোট সাড়ে ৩শ টন পেঁয়াজ বাজারে এসেছে। ফলে আগের পেঁয়াজগুলো বেশি দামে কেনা থাকায় সেগুলো দ্রুত বিক্রি করতে উদ্যোগী হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ আগের পেঁয়াজ ছাড়তে পারলে কমদামে পেঁয়াজ আড়তে বিক্রি সম্ভব হবে।
খাতুনগঞ্জে সোমবার চীনের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়, মিশর ও তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। গত রবিবার এসব পেঁয়াজই আড়তে বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। শনিবার বিক্রি হয়েছিল ১৯০ থেকে ২১০ টাকায়।
পাইকারি বাজারে কমলেও খুচরায় এখনো ২০০ টাকার বেশি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, তাঁরা বেশি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। পাইকারিতে দাম কমায় খুচরায়ও এক-দুদিনের মধ্যে দাম কমবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here