এবিএম ইমরান: চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী ঘোষণা দিয়েছেন, নির্বাচিত হলে তার প্রথম কাজ হবে বেকারত্ব দূরীকরণে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।
১৫ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় নগরীর শুলকবহর এলাকার ডেকোরেশন গলিতে অনুষ্ঠিত এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,
“আমি চাই এই আসনের কেউ যেন বেকার না থাকে। সবার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করাই আমার লক্ষ্য। আগামীর নতুন বাংলাদেশ গঠনে দাঁড়ি পাল্লার কোনো বিকল্প নেই। জনগণ ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজব্যবস্থা চায়, আর সেই লক্ষ্য পূরণে দাঁড়ি পাল্লার প্রতীককে জয়ী করতেই হবে।”
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এবং স্থানীয় মহল্লার সরদার মোহাম্মদ এনামুল হক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর জামায়াতের শুরা সদস্য ও পাঁচলাইশ থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাছান রুমী। সঞ্চালনায় ছিলেন গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শহীদুল্লাহ তালুকদার, নুরুল ইসলাম, হাফেজ তাওহীদুল ইসলাম, মাওলানা ইউসুফ, ইমদাদ বাচ্চু, দেলোয়ার হোসাইনসহ স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অধ্যক্ষ হেলালী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবিচার ও জুলুমের শিকার। আজ জনগণ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। জুলুম ও স্বৈরাচার থেকে মুক্ত হয়ে ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণ একত্রিত হয়েছে। এ গণজোয়ারকে আর কেউ থামাতে পারবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, “আগামীর প্রজন্মের জন্য একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে হলে দাঁড়ি পাল্লার শক্তিকে আরও সুসংহত করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে এনামুল হক বলেন, “সব দলের ক্ষমতা আমরা দেখেছি, কিন্তু জামায়াতের ক্ষমতা দেখিনি। তাদের কর্মীরা সততার চর্চা করছে, জনগণও মনে করছে রাষ্ট্র নিরাপদ হাতে যাবে। আগামী নির্বাচনে আমরা এই দলের প্রতীকেই আস্থা রাখতে চাই।”
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দুর্নীতি ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কারণে দেশ পিছিয়ে পড়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গড়তে হলে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সঠিক নেতৃত্বকে বেছে নিতে হবে।
বৈঠকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিয়ে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
