বাংলাদেশের এক মেধাবী শিক্ষার্থী, মো. মাইনুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি তুরস্ক সরকারের মর্যাদাপূর্ণ এবং প্রতিযোগিতামূলক ‘তুরকিয়ে বুরসলারি স্কলারশিপ ২০২৫’ অর্জন করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তুরস্কের একটি শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।
তার এই সাফল্যে পরিবার, শিক্ষক, বন্ধু-বান্ধব ও নিজ এলাকায় আনন্দের বন্যা বইছে।
কে এই মাইনুল ইসলাম?
মো. মাইনুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার কৃতি সন্তান। তিনি হায়দরগন্জ তাহেরিয়া আর এম কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম (২০২৪ ব্যাচ) সম্পন্ন করেছেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ও পরিশ্রমী ছাত্র হিসেবে পরিচিত। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি সামাজিক কাজ, লেখালেখি এবং স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তার লেখনী ইতিমধ্যে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, যা তার বহুমুখী প্রতিভার স্বাক্ষর বহন করে।
সাফল্যের পেছনের গল্প
‘তুরকিয়ে বুরসলারি’ বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক স্কলারশিপ। প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় ১৭০টিরও বেশি দেশ থেকে লাখ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করে। কঠিন বাছাই প্রক্রিয়ার ধাপ—একাডেমিক ফলাফল, মোটিভেশন লেটার ও সরাসরি সাক্ষাৎকার—সবগুলোতেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে মাইনুল ইসলাম চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এই অর্জন তার মেধা, অধ্যবসায় ও দৃঢ় সংকল্পের এক উজ্জ্বল প্রমাণ।
কী থাকছে এই স্কলারশিপে?
এই বৃত্তির আওতায় তিনি যে সকল সুবিধা পাবেন—
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ টিউশন ফি
মাসিক ভাতা
বিনামূল্যে আবাসন সুবিধা
সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বীমা
এক বছরের জন্য তুর্কি ভাষা শিক্ষা কোর্স
এককালীন যাওয়া-আসার বিমান টিকিট
দেশের জন্য অনুপ্রেরণা
মাইনুল ইসলামের এই সাফল্য প্রমাণ করে, সুযোগ পেলে বাংলাদেশের তরুণরা বিশ্বমঞ্চে নিজেদের প্রতিভা প্রমাণ করতে সক্ষম। তার অর্জন দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থীকে বড় স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্ন পূরণে কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রাণিত করবে। উল্লেখ্য মাইনুল ইসলাম ২০২৩ সালে শিশুদের নোবেল খ্যাত নেদারল্যান্ডসের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরষ্কার ২০২৩ এর জন্য মনোনীত হয়েছিল। এছাড়া মেধাবী কিশোর ক্যাটাগরিতে আরটিভি এসএমসি মনিমিক্স প্রেরনা পদক ২০২৩ অর্জন করেন।
