বর্তমানে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের তত্ত্বাবধানে রয়েছে সুমি আক্তার। সৌদি আরবে নির্যাতনের শিকার গৃহকর্মী সুমি আক্তারকে (২৬) উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার স্থানীয় সময় রাতে জেদ্দার দক্ষিণে নাজরান এলাকার কর্মস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ এবং থানা হেফাজতে নিয়ে আসে স্থানীয় পুলিশ। সুমি আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী। বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে সৌদিতে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি গৃহকর্মী সুমি আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আকুতি জানান। ভিডিও কলে তিনি বলেন, ‘ওরা আমারে মাইরা ফালাইব, আমারে দেশে ফিরাইয়া নিয়া যান। আমি আমার সন্তান ও পরিবারের কাছে ফিরতে চাই। আমাকে পরিবারের কাছে নিয়ে যান। এখানে আমার ওপর অনেক নির্যাতন করা হচ্ছে। আর কিছুদিন থাকলে হয়তো মরেই যাব। প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমার অনুরোধ আপনারা আমাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
সুমির আকুতির সেই ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পরই তার স্বামী নুরুল ইসলাম রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে গৃহকর্মীর ট্রেনিং শেষ করেন সুমি। পরে দালালদের দেখানো লোভ আর বিদেশে গিয়ে ভালো টাকা আয়ের আশ্বাসে ৩০ মে ‘রূপসী বাংলা ওভারসিজ’ নামে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু দালালরা বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাকে বিক্রি করে দেয়। সৌদি যাওয়ার সপ্তাহ খানেক পর শুরু হয় মারধর, যৌন হয়রানিসহ নানা নির্যাতন।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের এক কর্মকর্তা দৈনিক আমাদের সময় অনলাইনকে জানান, সুমিকে থানায় নিয়ে আসা হলেও তার এখানকার নিয়োগকর্তা (কফিল) তাকে ছাড়তে চাইছেন না। তিনি সুমিকে এখানে রাখতে চান। তাকে ছাড়তে হলে রূপসী বাংলা ওভারসিজের কাছ থেকে সৌদির কফিলকে টাকা আদায় করে দিতে হবে।
কফিলের দাবি, সুমিকে সৌদিতে নিতে তার প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। যা এখনও সেবায় (কাজে) শোধ হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here