ইরানে হামলা চালানো যাবে না, ইসরাইল সরকারকে সৌদি আরববের এমন কড়া হুশিয়ারের পর নতুন মোড় নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত। আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে ইনার সমর্থীত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও হুথি যোদ্ধারা। এই প্রথম তেলাবিবে ইসরাইলি সেনাদের সদর দপ্তরে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লা যোদ্ধারা। লেবাননের ইরান সমর্থীত গোষ্টিটি এই হামলায় ব্যবহার করেছে অত্যাধুনিক মিসাইল ও সুইসাইড ড্রোন এতে ইসরাইলের বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছে, এছাড়া লেবাননের অভ্যন্তরে ইসরাইলি সেনা ও হিজবুল্লা যোদ্ধাদের মধ্যে ও পাল্টা পালটি স্থলো অভিযান অব্যাহত আছে। হিজবুল্লার হামলায় নিহত হয়েছে ছয় ইসরায়িলি সেনা। লেবাননের ভুখন্ডে হামলা শুরুর পর এটাই একদিনের সবচেয়ে বেশি ইসরায়িলি সেনা নিহতের ঘটনা।

হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসেম বলেছেন, শত্রু ইসরাইলকে পরাজিত করার আগ পর্যন্ত লড়ে যাবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা। তবে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ইসরায়িলি সেনারা বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে। গেল এক সাপ্তাহে দুইশর ও বেশি হিজবুল্লা সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে নেতান ইয়াহু বাহিনী। লেবাননের রাজধানী বৈরতের দক্ষিনে দফায় দফায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। ২৪ ঘন্টায় দানিয়ের অনন্তত ৬ টি বাড়িতে হামলা হয়েছে, এতে প্রানহানী হয়েছে কমপক্ষে ৮ জনের, এছাড়া লেবাননের বৈরতের ৩ টি শহর থেকে লেবাবানবাসীদের অন্যত্র সরে যেতে বলেছে ইসরাইলী প্রসাশন। হামলা চলছে ফিলিস্তিনেও, গাজা সিটি নুসাইরার ও জাভালিয়া শরনার্থী শিবিরে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইললি সেনারা। গাজার ত্রান সহায়তা কর্মীদের দাবি, একমাসে অন্তত ২০ কর্মি হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহীনি। এক বছরে সেই সংখ্যা ৩ শ জনের বেশি। এইদিকে গাজায় ত্রান সরবরাহ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের দূর্ভিকের দারপ্রান্তে টেলে দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে অনাহারে মারা যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এই পরিস্থিতিকে গনহত্যা বলে মন্তব্য করেছে জাতীসংঘের এক বিশেষ তদন্ত কমিটি। গাজা ভুখন্ডে গেল এক বছরে আগ্রাসন চালিয়ে অন্তত চুয়াল্লিশ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহীনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here