পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ পদে পরিবর্তনের পর মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহারে দাবি করা হলে দেশের অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহার শুরু করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) থেকে এসব জেলার ডিসিদের প্রত্যাহার করা হবে বলে জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

 

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথম দফায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, খুলনা, সিলেট, নরসিংদী, বরিশাল, গাইবান্ধা, রংপুর, ফরিদপুর জেলার ডিসি প্রত্যাহার হচ্ছে। পরবর্তীতে অন্য জেলার ডিসিদেরও প্রত্যাহার করা হবে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেন, নতুন ডিসি নিয়োগ দিতে বঞ্চিত তিন ব্যাচের ফিট লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন ডিসিদের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে একটি নোটিশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে প্রশাসনে বঞ্চিত ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের ২৫ জন উপসচিবকে ডিসি পদে নিয়োগের জন্য ডাকা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় ডিসি ফিট লিস্টের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসনের কর্মকর্তারা আরও বলেন, মঙ্গলবার থেকে ডিসিদের প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু করা হবে। একই সঙ্গে জেলাগুলোতে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়াও শুরু হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যে সব জেলার ডিসিরা বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনকে প্রত্যাহার করা হবে।

সিভিল প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ে ৬৪ জেলায় বর্তমানে তিনটি ব্যাচের কর্মকর্তারা ডিসির দায়িত্ব পালন করছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে পুরোনো হচ্ছে ২৪তম ব্যাচ। এ ব্যাচের ২৩ জন ডিসি কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ২৫তম ব্যাচের ১৯ জন এবং ২৭তম ব্যাচের ২২ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। এই তিন ব্যাচের বাদ পড়াদের এবারে ডিসি নিয়োগ করা হচ্ছে।

সাধারণত ডিসি পদে দুই বছর হওয়ার পর তাদের বদলি করা হয়। ২৪তম ব্যাচের ডিসিদের অনেকের দুই বছর সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেজন্য তাদের অনেককে বর্তমান কর্মস্থল পরিবর্তন করে নতুনদের নিয়োগ দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে ডিসি পদে বিবেচনায় আসতে পারেন ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তারা।