ইসরাইলের বিমানবাহিনীর বিরতিহীন বোমা হামলা থেকে অসহায় ফিলিস্তিনিরা অবশেষে আশ্রয় নিয়েছেন গাজার হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও তারা নিরাপদ নন। বিদ্যুৎহীন হাসপাতাল যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানেও পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি ঘটছে। বিদ্যুৎ এবং জ্বালানিবিহীন হাসপাতাল অচিরেই বিশাল কবরস্থানে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির মধ্যপ্রাচ্য মুখপাত্র।

এদিকে হামাসের হাতে জিম্মি ইসরাইলিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনে কোনো ধরনের খাদ্য, ওষুধ বা বিদ্যুৎ পৌঁছাতে দেবে না বলে বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরাইল। শনিবার হামাসের রকেট নিক্ষেপের পর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ২৬০০-এর বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। এর মধ্যে ইসরাইলে ১৩০০ জন এবং গাজায় ১৪১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। খবর বিবিসি, রয়টার্স, স্কাই নিউজ, ডেইলি মেইল, আলজাজিরা।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের চলমান যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনেও দুপক্ষের হামলা-পালটা হামলা চলছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ইসরাইল সফর করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইসরাইলের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের থাকার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেন। ব্লিংকেন বলেন, হামাস ইসরাইলকে ধ্বংস করে দিতে চায়। যে বা যারা শান্তি এবং ন্যায়বিচার চান, তারা অবশ্যই হামাসের সন্ত্রাসবাদের নিন্দা জানাবেন।

তিনি বলেন, হামাসের একমাত্র এজেন্ডা হচ্ছে-ইসরাইলকে ধ্বংস করা আর ইহুদিদের হত্যা করা। সেই সঙ্গে ব্লিংকেন হুঁশিয়ার করে বলেন, প্রত্যেক দেশের সাধারণ নাগরিকের ক্ষয়ক্ষতি রোধে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সব ধর্ম, বিশ্বাস আর দেশের সাধারণ মানুষই মারা যাচ্ছেন। তাদের রক্ষায় সম্ভাব্য সব ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। ইসরাইলকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় পাশে থাকবে বলেও ব্লিংকেন উল্লেখ করেন। শনিবারের হামাসের হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে ব্লিংকেন জানান।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন হামাসকে ‘পাকা শয়তান’ বলে উল্লেখ করে ঠিক কথাই বলেছেন। আইএসআইএসকে যেভাবে উৎখাত করা হয়েছে, হামাসকে ঠিক একই ভাবে উৎখাত করা হবে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী থেকে তাদের মূলোৎপাটন করা হবে। তিনি বলেন, এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর এখনই উত্তম সময়। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের উঠে দাঁড়াতেই হবে। নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা একটি অবস্থান নিয়েছি, আমেরিকাও একটি অবস্থান নিয়েছে।’

ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় গাজায় এক হাজার ৪১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪১৭ জনে পৌঁছেছে। আর এতে আহত হয়েছেন ৬ হাজার ২০০ জন। এসব নিতদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫০ জনই বৃহস্পতিবার সকালে ভয়াবহ বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় শনিবার থেকে এ পর্যন্ত তারা চার হাজার টন ওজনের প্রায় ছয় হাজার বোমা বর্ষণ করেছে।

এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় ইসরাইলের বোমা বর্ষণের কারণে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। গাজার ২ হাজার ৫৪০টি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস এবং ২২ হাজার ৮৫০টি ভবন আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ওসিএইচএ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে গণহারে বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ওসিএইচএ বলছে, বাস্তুচ্যুতদের দুই-তৃতীয়াংশ (২ লাখ ২০ হাজার) ফিলিস্তিনি জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। আর ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। আর ১ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশপাশের প্রতিবেশী, গির্জাসহ অন্যান্য স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।

অন্যদিকে, হামাসের হামলায় অন্তত ১ হাজার ৩০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শত শত মানুষ। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি যুদ্ধের হালনাগাদ তথ্য জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে গাজা সীমান্ত লাগোয়া ইসরাইলের ভূখণ্ডজুড়ে ইসরাইলের কোনো সম্প্রদায় নেই। তাদের সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। হ্যাগারি বলেন, হামাসের যোদ্ধারা এখনো ওই অঞ্চলে আছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে সেনারা। তিনি বলেন, পুরো যুদ্ধের ব্যাপারে বড় ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। চলমান যুদ্ধে ১৮৬ সেনা নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামাসের সদস্যরা ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর ৬০ সদস্যকে জিম্মি করেছেন।

এদিকে ইসরাইলে অব্যাহত হামলা এবং খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের প্রেক্ষিতে রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির (আইসিআরসি) মধ্যপ্রাচ্যের মুখপাত্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজা পরিস্থিতি যেভাবে অবনতি ঘটছে তাতে এখানকার স্বাস্থ্য খাত একেবারে ভেঙে পড়ার মুখে রয়েছে। বৈরুতে ইমেন ট্রাবেলসি স্কাই নিউজকে বলেন, হাসপাতালের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এখানে জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় অব্যাহত চাপের মধ্যে এখানে আর কোনো ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সত্যিকার অর্থেই বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজার হাসপাতাল বিশাল কবরস্থানে পরিণত হতে পারে বলে হাসপাতালে কর্মরত এক ডাক্তার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ট্রাবেলসি আরও বলেন, গাজার হাসপাতালে কর্মরত রেডক্রসের কর্মীরা সবাই স্থানীয়। তাই সেখানকার সাধারণ মানুষ যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন, তারাও সেই একই পরিস্থিতির মধ্যে অবস্থান করছেন।
আইসিআরসির ফ্যারিজিও কারবনি বলেছেন, গাজার পাশাপাশি হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে ইনকিউবিটরে নবজাত শিশু এবং বয়স্ক রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েছে। কিডনি ডায়ালাইসিস বন্ধ হয়ে গেছে। কোনো ধরনের এক্সরে করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ ছাড়া হাসপাতাল মূলত মর্গে পরিণত হয়েছে।

এদিকে আইসিআরসির প্রধান সুরক্ষা কর্মকর্তা কার্ডন ক্রিস্টিয়ান বলেছেন, গাজার জীবনরেখা (লাইফলাইন) বিলীন হতে শুরু করেছে। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার সময়। এখনই সামরিক বিরতি দেওয়ার সময়। মানবতা এবং সুরক্ষার এখনই উত্তম সময়।

তার এ বক্তব্য দেওয়ার পরপরই ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে গাজার একটি ‘ফিল্ড হসপিটাল’ স্থাপনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ পরিস্থিতির মধ্যেই খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধসহ গাজার অবরোধ তুলে নিতে কঠোর শর্ত দিয়েছে ইসরাইল। ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দেবে ততক্ষণ গাজার ওপর অবরোধ চলবে।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে দেওয়া পোস্টে জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ইলেকট্রিক্যাল সুইচ অন করা হবে না, পানির হাইড্রান্ট খোলা হবে না এবং জ্বালানির কোনো ট্রাক প্রবেশ করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত বন্দিদের মুক্তি দেওয়া না হবে।’ তিনি বলেন, মানবিকতার জন্য মানবিকতা। এ বিষয়ে কেউ আমাকে সবক শেখাতে আসবেন না।

শনিবার ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্রগোষ্ঠী হামাস আকস্মিক রকেট নিক্ষেপের পরপরই গাজা উপত্যকায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল। ওইদিন থেকেই তারা গাজায় খাদ্য, জ্বালানিসহ সবকিছু সরবরাহ বন্ধ করে। তাদের এ অবরোধের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন সাধারণ গাজাবাসী। জ্বালানির অভাবে ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন সেখানকার মানুষ। এছাড়া তারা খাদ্য সংকটের শঙ্কায়ও রয়েছেন।

এদিকে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, দামেস্কের বিমানবন্দর এবং উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পোতে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। এতে বিমানবন্দরের রানওয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে গেছে। সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সানা জানিয়েছে, এ হামলায় কেউ হতাহত হননি। ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে অবশ্য এ হামলার ব্যাপারে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইসরাইলের নারী ও দুই শিশুর মুক্তি : ইসরাইলের এক নারী ও তার দুই শিশু সন্তানকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। ইসরাইলে অভিযানের সময় তাদের আটক করেছিল হামাস। বৃহস্পতিবার আল আরাবিয়া এবং আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় হামাসের হাতে আটক এক ইসরাইলি নারী এবং তার দুই সন্তানকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে হামাসের সশস্ত্র শাখার এক বিবৃতিতে জানা গেছে। হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসেম ব্রিগেডস বিবৃতিতে বলেছে, ‘একজন ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারী এবং তার দুই সন্তানকে সংঘর্ষের সময় আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ তবে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছে ব্রাজিল : ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাত নিয়ে আলোচনার জন্য শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছে ব্রাজিল। বুধবার ব্রাজিলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা গাজা উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিতে নিউইয়র্ক ভ্রমণের জন্য তার এশিয়া সফর বিলম্বিত করেছেন। এর আগেও ইসরাইলের ওপর হামাস আকস্মিক হামলা চালানোর পরদিন রোববার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডেকেছিল ব্রাজিল।

ইরানি প্রেসিডেন্ট ও সৌদি যুবরাজের টেলিফোন আলাপ : ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে বুধবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। মূলত চীনের মধ্যস্থতায় তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার পর দুই নেতার মধ্যে এই প্রথম টেলিফোনে কথোপকথন হলো। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ‘ফিলিস্তিনে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা’ নিয়ে আলোচনা করেছেন। অন্যদিকে সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, ‘বর্তমান উত্তেজনা নিরসন করতে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সব পক্ষের সঙ্গে সৌদি আরব সব রকমের যোগাযোগ করছে বলে নিশ্চিত করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স।’ এছাড়া সংঘাতে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি সৌদি আরব যে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেটাও সৌদি যুবরাজ পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে : যুক্তরাষ্ট্র সব সময় ইসরাইলের পাশে থাকবে বলে অঙ্গীকার করেছেন দেশটিতে সফরে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৃহস্পতিবার তেল আবিবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আপনারা হয়তো নিজেদের রক্ষায় যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে যত দিন আমেরিকা আছে, ততদিন আপনাদের কখনো একা লড়তে হবে না। হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যারা শান্তি ও ন্যায়বিচার চান, তাদের অবশ্যই হামাসের সন্ত্রাসের নিন্দা জানাতে হবে। আমরা জানি, হামাস ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাদের লক্ষ্য একটাই, তা হলো ইসরাইলকে ধ্বংস করা ও ইহুদিদের হত্যা করা। আমি আপনাদের সামনে এসেছি কেবল একজন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নয়, বরং একজন ইহুদি, একজন স্বামী এবং ছোট শিশুদের বাবা হিসাবে।