????????????????????

মুলাদীতে ফের দুই বাড়িতে গচ্ছিত হাতবোমার বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চরসেলিমপুর গ্রামের কালোং হাওলাদারের বাড়িতে ৮-১০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ হয়।

মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের আফজাল খানের বাড়িতে বালুর স্তুপে রাখা ৪-৫টি হাতবোমার বিস্ফোরণ হয়। বোমা বিস্ফোরণের সময় আশেপাশে লোকজন না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিস্ফোরণে কালোং হাওলাদারের রান্নাঘর উড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন অশ্রু এবং মুলাদী থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান হাতবোমা বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সেলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিস্ফোরণের আলামত জব্দ করেছেন।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে এবং ৮ সেপ্টেম্বর সাড়ে ১১টার দিকে বাটামারা ইউনিয়নের তিন বাড়িতে অর্ধশত হাতবোমার বিস্ফোরণ হয়েছিল। ওই ঘটনায় বরিশাল জেলা পুলিশ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন অশ্রু বলেন, বাটামারা ইউনিয়নের ৪টি পক্ষের মধ্যে প্রায় প্রতিরাতেই বোমা হামলা ও সংঘর্ষ হতো। সাম্প্রতি থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় পক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বোমা হামলা বন্ধ হয়েছে। তবে আগে তৈরি করা বোমা কেউ গচ্ছিত রাখতে পারে। মঙ্গলবার রাতে এবং বুধবার সেগুলোর বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, শান্তি চুক্তির পর বাটামারা ইউনিয়নে হামলা, সংঘর্ষ বন্ধ রয়েছে। গচ্ছিত হাতবোমা বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষেকে আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকতে হবে।

মুলাদী