পাকিস্তানের আইন ও সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পুনঃনিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার সঙ্গে দেখা করে এসব কথা বলেন।

মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্রের দ্বারা জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রদূত পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নেতাদের বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জনগণের জন্য এবং ওয়াশিংটন জনগণ যাকে বেছে নেবে তার সঙ্গে মার্কিন-পাকিস্তান সম্পর্ক প্রসারিত ও গভীর করতে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে বললেন ইমরান খান

সাধারণ নির্বাচনের সময় নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এ মন্তব্য এসেছে। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ইতোমধ্যে পরবর্তী নির্বাচনের আগে সীমানা নির্ধারণের কাজ এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরো মহড়ায় চার মাস সময় লাগবে; অর্থাৎ এ বছর নির্বাচন সম্ভব নাও হতে পারে। এর ফলে নির্বাচনের সময় সব দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাও থাকতে পারে বলে শঙ্কা রয়েছে।

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন এবং দলের প্রধানসহ নেতাদের কারাগারে পাঠানোও এমন কিছু যা পার্টিকে অবাধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অস্বীকার করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা হয়। পশ্চিমা রাজধানীগুলো ঘনিষ্ঠভাবে দেশটির পরিস্থিতি অনুসরণ করছে এবং কখন নির্বাচন হবে তা জানতে আগ্রহী। এটি  বোঝা যায় যে কিছু প্রযুক্তিগত কারণে একটি যুক্তিসঙ্গত বিলম্ব তেমন সমস্যা হতে পারে না কিন্তু যদি ভোটের তারিখ একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা অতিক্রম করে যা বহির্বিশ্ব, বিশেষ করে পশ্চিমাদের পছন্দ নাও হতে পারে। এ কারণে সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

একদিন আগে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি নভেম্বরের শুরুতে শেষ হওয়া ৯০ দিনের সাংবিধানিক সময়সীমার মধ্যে ভোটের তারিখ নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করার জন্য সিইসি রাজাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ভোট বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তা ছাড়া নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছে ইসিপি।

সূত্র: ট্রিবিউন