জনতার ডেস্কঃ

সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় নবনির্বাচিত ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনায়, প্রধান আসামী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি।

শুক্রবার দুপুরে, সিরাজগঞ্জ সদর থানায় চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম।

এসময় তিনি বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী ধলপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল হত্যাকারী জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কাউন্সিলর তরিকুল হত্যার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে জাহিদুল।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল ইসলাম জানায়, সে উট পাখি প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী শাহাদত হোসেন বুদ্ধিনের সমর্থক। নির্বাচনের তিনদিন আগে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য জাহিদুল ইসলাম ঢাকা থেকে সাহেদনগর ব্যাপারীপাড়াস্থ নিজবাড়িতে আসে। এরপর দুইদিন নির্বাচনী প্রচারে সে অংশ নেয়।

নির্বাচনের আগের দিন রাতে এক আসামির বাড়িতে তাঁর উপস্থিতিতে এজাহার নামীয় ও অন্যান্য আসামিরা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তরিকুল ইসলাম খানের উপর হামলার পরিকল্পনা করে।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এজাহার নামীয় একজন আসামি তাকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি দেয়। ফলাফল ঘোষণার সময় অন্যান্য আসামিদের সাথে জাহিদুলও ছুরি নিয়ে শহীদগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়।

সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে ফলাফল ঘোষণায় ডালিম প্রতীক ৮৫ ভোটে তরিকুল ইসলামকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এরপরই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় জাহিদুল তরিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি তার বাড়ির পশ্চিম পাশের পরিত্যক্ত ডোবায় পুতে রেখে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থানার ধলপুর এলাকার ভাড়া বাসায় চলে যায় জাহিদুল ইসলাম।

জবানবন্দিতে এজাহার নামীয় কয়েকজন আসামি ছাড়াও অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন আসামীর নাম স্বীকার করেছে জাহিদুল ইসলাম। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের কয়েকটি টিম তৎপর রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোট গণনায় ৮৪ ভোটে বিজয়ী হন তরিকুল ইসলাম। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরপরই পরাজিত প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের সমর্থকগণ বিজয়ী প্রার্থীদের ওপর হামলায় চালায়। এ সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল গুরুতর আহত হন। ওইদিন রাত ৮টার দিকে শহরের প্রাইম হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুনঃ বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী ঘোষণার সাথে সাথেই হামলা, অন্তঃপর নিহত