সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান জনপ্রিয় নেতা । তিনি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের কিণ্ডু বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন এবং তিনি ভাইস চেয়ারম্যান থেকে এবং বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও তার নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। গতকাল রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে কারাবন্দী চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এম মোরশেদ খান জানান, এক বছর ধরে চিন্তাভাবনা করে তিনি এই দলবাজির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। গত সোমবার রাতে তার গুলশানের বাসভবনে বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী ও চট্টগ্রামের অভিজাত খান পরিবারের উচ্চশিক্ষিত ব্যবসায়ী, সজ্জন রুচিশীল বিনয়ী মানুষ মোরশেদ খান জাতীয় এক দৈনিকের সাথে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন। তখন তার পাশে কিছু সময় স্ত্রী নাসরীন খান ছিলেন। তিনিও বলেছেন, এক বছর আগেই তাকে এই রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করার জন্য পরিবার থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজনীতিতে এসে জনগণের কল্যাণে ও দেশসেবায় যতটা ভূমিকা রেখেছেন তার মূল্যায়ন কতটা হয়েছে, সেটা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু এ রাজনীতির জন্য গোটা পরিবারকে চড়া মাশুল গুনতে হয়েছে। তিনি রাজনীতিতে আসায় তার পরিবারকে অসহনীয় দুর্ভোগ ও কষ্ট সইতে হয়েছে। পদত্যাগ পত্রে মোরশেদ খান বিএনপি নেত্রীকে লিখেছেন, ‘আজ অনেকটা দুঃখ ও বেদনাক্লান্ত হৃদয়ে আমার এই পত্রের অবতারণা।
মানুষের জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। আমার বিবেচনায়, সে ক্ষণটি বর্তমানে উপস্থিত এবং উপযুক্তও বটে। তিনি রাজনীতির অঙ্গনে তার দীর্ঘকালের পদচারণা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং দেশের মানুষের কল্যাণে অবদান রাখার কথা উল্লেখ করেন।’ বলেন, বিএনপি এবং আপনার যোগ্য নেতৃত্বের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে বর্তমানে দৃঢ় বিশ্বাস দেশের রাজনীতি এবং দলের অগ্রগতিতে নতুন কিছু সংযোজনের সঙ্গতি নেই। আমার উপলব্ধি সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। বহু বিচার-বিশ্লেষণে বিএনপির রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রাথমিক সদস্যসহ ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করছি। অব্যাহতি দিয়ে বাধিত করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here