স্কুলছাত্রী আনুশকা নুর আমিনকে (১৭) ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তানভীর ইফতেখার দীহানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করবে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে নিউমার্কেট জোনের পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) আবুল হাসান এতথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দীহানকে শুক্রবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়েছে। আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। জবানবন্দি না দিলে পুলিশ আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ড চাইবে।

বৃহস্পতিবার ধানমন্ডির বাসা থেকে বেরিয়ে কলাবাগান এলাকায় যান স্কুলছাত্রী আনুশকা। দীহান কলাবাগানের ডলফিন গলির বাসায় নিয়ে যায় তাকে। ওই বাসাতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অচেতন হয়ে পড়েন আনুশকা।
পরে দীহান তাকে নিয়ে যায় ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশের ধারণা, মৃত্যুর আগে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। ধর্ষণের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে তার। এ ঘটনায় দীহানসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতেই দীহানকে আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় একটি মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা।
স্বজনদের দাবি, আনুশকাকে বাসায় ডেকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে দীহান ও তার সহযোগীরা। হত্যার বিচার দাবি করেন তারা। আনুশকা ধানমন্ডির মাস্টার মাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভের ছাত্রী ছিলেন।

কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ঠাকুর দাশ বৃহস্পতিবার সমকালকে জানান, দীহানের সঙ্গে আনুশকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে দীহানের সঙ্গে দেখা করার জন্য কলাবাগানে আসে মেয়েটি। দীহান তাকে ডলফিন গলির বাসায় নিয়ে যান। সে সময় দীহানের বাসায় তার পরিবারের কেউ ছিল না।

তিনি জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় দুপুরে আনুশকাকে দীহান ও তার বন্ধুরা আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেল সোয়া ৩টায় হাসপাতাল থেকে লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান সমকালকে বলেন, দীহানের বাসায় স্কুলছাত্রীর রক্তক্ষরণের বিভিন্ন আলামত পাওয়া গেছে। বাসার বিভিন্ন জায়গায় রক্ত দেখা গেছে।