২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরুর হয়। এরপর থেকে নতুন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ, মৃতদের বাদ দেয়াসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কাজ শুরু করে ২০০৯, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালে হালনাগাদ শেষ হয়। আবার অবশেষে প্রবাসে থেকেই ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। প্রথম দিকে সিঙ্গাপুরকে পাইলট হিসেবে গ্রহণ করার চিন্তা করে ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কিন্তু সে দেশের সরকারের সাড়া না পাওয়ায় মালয়শিয়া থাকা বাংলাদেশিদের প্রথম ভোটার করার প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।
মঙ্গলবার এ কার্যক্রম প্রক্রিয়া উদ্বোধন করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে আরো চার নির্বাচন কমিশনারের এ সময় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান জানান, প্রবাসীদের ভোটার করার কার্যক্রম উদ্বোধনের সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এনআইডি কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সিইসি স্যার এ কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর থেকেই মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনলাইনের ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোটার নিবন্ধনের এ কাজ উদ্বোধন করবেন।
অন্য প্রান্তে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়াতে বাংলাদেশ দূতাবাসে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
আবেদনের পর সেই সব আবেদন সঠিক কি না, ইসি তা কেন্দ্রীয়ভাবে যাচাই করবে। যাচাই–বাছাই শেষে ইসির কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দেশে গিয়ে যোগ্য ও সঠিক আবেদনকারীদের ছবি তোলাসহ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও চোখের মনির ছাপ (আইরিশ) গ্রহণ করবে।
ইসি সচিবালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, মালয়েশিয়া ছাড়াও যুক্তরাজ্য, দুবাই ও সৌদি আরবের প্রবাসীরা এই সুযোগ পাবেন। পরে পর্যায়ক্রম অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরাও এই সুযোগ পাবেন।
এ জন্য ইতিমধ্যে ভোটার তালিকা বিধিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিদেশে বসবাসরতরা সেই দেশে ইসির স্থাপিত রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে গিয়ে কিংবা অনলাইনে ভোটার হওয়ার আবেদন করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে তিনি সর্বশেষ যে এলাকায় বসবাস করেছেন বা নিজের অথবা বাবার বাড়ির ঠিকানায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
পরবর্তীতে তার আবেদন সেই এলাকার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্তের পর দশ আঙুলের ছাপ, চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি ও ভোটারের ছবি তুলে এনআইডি সরবরাহ করা হবে।
এর আগের রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে ও ইসির ওয়েবসাইটে দাবি-আপত্তির জন্য তালিকা দেয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা যাবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সেই তথ্য ডাটাবেজে সংরক্ষণ এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বর্তমানে নাগরিকদের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবিও সংরক্ষণ করে রাখছে কমিশন।
বর্তমানে ইসির তথ্যভাণ্ডারে ১০ কোটি ৪২ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here