বৃদ্ধ নিহত
ফাইল ছবি।

সীতাকুণ্ডে দুই মহিলার ঝগড়ার জেরে চাচাত ও জেঠাত ভাইদের দুই পরিবারের মধ্যে মারামারির জেরে রহুল আমিন (৭০) নামক এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

আজ(২৩ মে) শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামে এ নিহতের ঘটনা ঘটে। নিহত রহুল আমিন ঐ বাড়ির মৃত মীর হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মীর হোসেন সেরাং বাড়ির বহুল আমিনের পরিবারের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে পার্শ্ববর্তী রফিকুল আলমের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। সম্পর্কে তারা চাচাচ-জেঠাত ভাই।

আজ ১০টার দিকে দুই পরিবারের গৃহবধুরা পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরে উভযের পরিবার মারামারি শুরু করে দেয়। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠি নিয়ে বৃদ্ধ রহুল আমিনকে এলোপাথাড়ি লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে পরিবারের লোকজন সীতাকুণ্ড উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার খবর পেয়ে দুপুরে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ওসি (তদন্ত) শামীম শেখ, ওসি (অপারেশন) আবুল কালাম, ওসি (ইন্টিলিজেন্স) সুমন বণিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা ভুক্তভোগি পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ নারী-পূরুষকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাটি শুনেছি আমি পুলিশের কাছে। পরে সেখানে গিয়ে জানতে পারি প্রতিপক্ষের হামলায় বৃদ্ধ রহুল আমিন নিহত হয়েছেন।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, চাচাচ-জেঠাত ভাইয়ের পরিবারের সাথে অনেক আগে থেকেই বিরোধ চলচিল । শনিবার সকালে দুই পরিবারের দুই মহিলা পুকুরে গোসল করতে গিয়ে ঝগড়ায় হয়ে পরবর্তীতে দুটি পরিবারের নারী-পূরুষরা মারামারিতে প্রতিপক্ষের লাঠি-সোটার আঘাতে বৃদ্ধ রহুল আমিনের মৃত্যু ঘটে।

তিনি বলেন, আমরা নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন নারী-পূরুষকে আটক করেছি। এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। নিহতের লাশ পোষ্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম আপডেট খবর