মা দিবস

মায়ের ভালোবাসা প্রতিটা মুহূর্তের। এর জন্য নির্দিষ্ট করে কোনো দিন বেধে রাখা যায় না। তবে বিশ্বব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ মে বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

‘মা’ কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই, মায়ের চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই।’- হ্যাঁ, সত্যিই তাই। মাত্র একটি অক্ষরের শব্দ ‘মা’। কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে মধুর শব্দ এটি। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শব্দ এটি। অর্থে অনবদ্য। শ্রুতিতেও মধুময়। মা ডাক শুনলে চোখের সামনে ভেসে ওঠে মায়াবী সুন্দর এক মুখ। যে মুখে লেগে থাকে স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসা।
আজ ১২ ই মে আন্তর্জাতিক ‘মা’ দিবস। দিনটি উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে মাকে ভালোবাসা জানিয়েছেন বহু মানুষ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে দিনটি পালন করা হয়। নরওয়েতে- মার্চের চতুর্থ রোববার, আয়ারল্যান্ড, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাজ্যে এই দিবসটি পালিত হয় ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় রোববার। তবে বাংলাদেশে মা দিবস নির্ধারণ করা হয়েছে মে মাসের দ্বিতীয় রোববার। বিশ্বের অনেক দেশে কেক কেটে মা দিবস উদযাপন করা হয়।
বাংলাদেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাসহ সারাবিশ্বের প্রায় ৬০টির মতো দেশে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার একসঙ্গে মা দিবস পালিত হয়ে আসছে বহু যুগ ধরেই।
পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষাভাষী মানুষ প্রায় একই রকম উচ্চারণে, ‘মা’ ধ্বনিতে তার গর্ভধারিণীকে ডেকে থাকেন। ধর্মীয় বা সামাজিক বা ব্যক্তিবিশেষে মানুষ মাকে দিয়েছেন সর্বোচ্চ আসন। মা হচ্ছেন একজন পূর্ণাঙ্গ নারী- যিনি গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম তথা সন্তানকে বড় করে তোলেন। তিনিই অভিভাবক সহ সার্বিক ভূমিকা পালন করেন। মা, মা এবং মা।

১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে। যদিও করোনার কারণে এবার দিবসটিতে কোন আনুষ্ঠানিকতা দেখা যাবেনা। তাই বলে ঘরে ঘরে মায়ের ভালবাসা কুড়াতে কার্পণ্য করবে না, কোন সুসন্তান।

আরো পড়ুন: সারাদেশ