করোনার মধ্যেই রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ পাটকল চালু

জনতার ডেস্ক : দেশ জনতার বাণী

পাটকল চালু

খুলনায় করোনার মধ্যে রোববার থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ৮টি পাটকল চালু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার এক শ্রেণির মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

করোনার প্রভাবের মধ্যে খাদ্য ও কৃষি বিভাগে চটের বস্তার সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট নিরসনে রবিবার (২৬ এপ্রিল) থেকে স্বল্প পরিসরে পাটকল চালু হচ্ছে। একই সঙ্গে ৩০ এপ্রিল ২ মাসের বেতন ও মজুরি প্রদানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

তবে মিল কর্তৃপক্ষের দাবি, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিল চালানো হবে। ভোর ৬টা থেকে ক্রিসেন্ট জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিল, স্টার জুট মিল, আলিম জুট মিল, ইস্টার্ন জুট মিল ও জেজেআই জুট মিলের উৎপাদন শুরু হয়েছে।

জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পাটকলগুলোয় ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ছিল। কিন্তু সরকারের খাদ্য বিভাগের বস্তা সরবরাহের জন্য রোববার থেকে ৮টি পাটকল আংশিকভাবে চালু হয়েছে। সকালে খুলনার পাটকলগুলোর গেট দিয়ে শ্রমিকরা মিলে ভোর ৬টা থেকেই উৎপাদন শুরু করেন।

মিলের একাধিক প্রকল্প প্রধান জানান, মিলগুলোয় সতর্কভাবে দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছে শ্রমিকরা। চাল ও বীজের মোড়কে পাটজাত বস্তার সংকট তৈরি হলে সীমিত আকারে পাটকলগুলো চালুর উদ্যোগ নেয় বিজেএমসি। ২৩ এপ্রিল প্লাটিনাম জুট মিলের বোর্ডরুমে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের প্রকল্পপ্রধানদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে পাটকল চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে শুধু নিজ মিল কলোনিতে অবস্থানরত শ্রমিকরাই কাজে যোগ দিতে পারবেন।

বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. বনিজ উদ্দিন মিঞা বলেন, খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি মিলে প্রায় ১০ হাজার স্থায়ী শ্রমিক আছেন। রোববার থেকে কার্পেটিং জুট মিল ছাড়া ৮টি মিলের উৎপাদন শুরু হয়। খাদ্য বিভাগ ও বিএডিসির জরুরি বস্তা সরবরাহের জন্য সব কটি মিল আংশিকভাবে চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেএমসি।
আরো পড়ুন : সারাদেশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here