করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের বিশিষ্ট আলেমদের পরামর্শ অনুযায়ী জুমার নামাজে সীমিত মুসল্লি আসার আহবান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। একই সঙ্গে তারা শতভাগ ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত না হয়ে কোনও মুসল্লিকে মসজিদে না আসার অনুরোধ জানিয়েছে। (ইফা)।
মঙ্গলবার ( ২৪ মার্চ) দেশের প্রখ্যাত আলেমদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইফা। আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) জুমার নামাজকে কেন্দ্র করে আবারও একই আহ্বান জানিয়েছে ইফা।
আলেমরা পরামর্শ দিয়েছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের জনসমাগম বন্ধের পাশাপাশি মসজিদে জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সীমিত রাখা। মসজিদ বন্ধ থাকবে না, তবে সুরক্ষা নিশ্চিত না হয়ে মসজিদে আসা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও করোনার বিস্তার রোধে মুসলমানদের ঘরেই নামাজ আদায়ের অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদেরও ঘরে বসে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানান তিনি। বুধবার (২৫ মার্চ) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।
মসজিদে নামাজ সীমিত করার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জের ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদের খতিব আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘সীমিত পরিসরে মসজিদে জামাত চলবে। সীমিত পরিসরের ব্যাখ্যাটা হলো এই যে, মসজিদের যারা স্টাফ (খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম) আছেন, যেভাবে সৌদি আরবের মক্কা মদিনায় নামাজ চলছে তারা সেভাবে জামাতে নামাজ আদায় করবেন। মসজিদে বন্ধ থাকবে না, মসজিদে আজান হবে, নামাজের আনুষ্ঠানিকতা চলবে। আমরা কে সুস্থ কে অসুস্থ এটা বোঝার কোনও উপায় নেই। যেহেতু আমাদের সুস্থতা অসুস্থতা বোঝার কোনও উপায় নেই, অতএব আমরা বাসা-বাড়িতে নামাজ পড়বো। মসজিদের স্টাফরা জামাতে নামজ পড়বেন। মূলকথা যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি সুস্থতা নিয়ে নিশ্চিত নন, সেক্ষত্রে মসজিদে না এসে বাসায় নামাজ পড়বেন। বিশেষ করে বৃদ্ধ, যারা রোগ আক্রান্ত, হাঁচি, কাশি, জ্বর আছে তারা কোনোভাবেই মসজিদে আসবেন না। মানুষকে গণহারে মসজিদে আসার জন্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’
মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাও প্রধান কার্যালয়ে সেই বৈঠকে পরামর্শ দিতে এসেছিলেন, আল হাইআতুল উলয়ালিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কো চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, মারকাযুত দাওয়ার শিক্ষা সচিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুলমালেক, শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মীযানুর রহমান সাঈদ প্রমুখ।