জনতার বাণী অনলাইন ডেস্ক,
আগামী ২১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন পেছাতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়েও একই মনোভাব ইসির। সোমবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এসব তথ্য জানান।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। মানুষ দুশ্চিন্তায় আছে। আমরাও শঙ্কিত। তবে কমিশন এখন পর্যন্ত ২১ মার্চের নির্বাচন স্থগিত করতে চাইছে না। তিনি বলেন, যে নির্বাচনগুলো এখন মাঠে আছে, সেখানে সীমিত আকারে প্রচার চালানো এবং জনসভা, পথসভা পরিহার করার নির্দেশনা দেওয়া হবে।
আগামী ২১ মার্চ ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন গাইবান্ধা-৩ ও বাগেরহাট-৪ আসনেও ভোট হবে। এছাড়া ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ওইদিন বগুড়া-১ ও যশোর-৬ সংসদীয় আসনেও উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সিইসি নূরুল হুদা বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতি অবনতি ঘটছে। তবে এসব মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। তবে কমিশন এখন পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করতে চাইছে না। তিনি বলেন, বাঙালি ‘ন্যাশন অব টলারেন্স’। আমরা এর চেয়ে বড় বড় দুর্যোগ সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করেছি। দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ মডেল।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সব ধরনের জনসমাগম না করার নির্দেশনা বিষয়টি সাংবাদিকরা সামনে আনলে সিইসি বলেন, আমরা এখনই বিষয়টি দেখভাল করবো। প্রার্থীরা যেন জনসভা, পথসভা পরিহার করে সে অনুরোধ করবো। তিনি বলেন, আমরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেইনি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীর এজেন্টদের নিরাপত্তা দিতে হবে। কিন্তু এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া আর বের করে দেওয়ার মধ্যে একটি ফারাক আছে। অনেকে এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন। কিন্তু দেখা যায় এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রেই যাননি। তিনি দলগুলোর প্রতি সক্ষম ও দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন এজেন্ট পাঠানোর আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, ইসি সচিব মো. আলমগীর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম, ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহতাব উদ্দিনসহ অনেকে।