যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন বলে হোয়াইট হাউজের এক চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার ট্রাম্পের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি আছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ফ্লোরিডার অবকাশযাপন কেন্দ্রে ব্রাজিলের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের কয়েকদিন পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের দেহে কভিড-১৯ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ফাবিও ওয়েনগার্টেনসহ প্রতিনিধি দলটির কয়েক সদস্যের শরীরে পরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
“ফল নেগেটিভ এসেছে, যা আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় আমি নিশ্চিত হয়েছি,” বিবৃতিতে বলেছেন হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক শন কনলি।
ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই দুই হাজার ৭০০র বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৪ তে।
কারও করোনাভাইরাস ধরা পড়লে তার সংস্পর্শে আসা মানুষদের অন্তত ১৪দিন ঘরে আইসোলেশনে থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
ব্রাজিলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর কয়েকজনের করোনাভাইরাস ধরা পড়লেও ৭৩ বছর বয়সী ট্রাম্প সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্বেচ্ছা-অন্তরণে যেতে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
নিজের দেহে কভিড-১৯ এর কোনো লক্ষণই নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার পর মত বদলে ভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় অংশ নেন ট্রাম্প।
“মার-আ-লগোতে ব্রাজিলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ডিনারের সপ্তাহখানেক পরও প্রেসিডেন্টের দেহে কোনো উপসর্গ নেই,” বলেছেন কনলি।
ফ্লোরিডার ওই অবকাশযাপন কেন্দ্রের বৈঠকে অংশ নেয়া ব্রাজিল প্রতিনিধিদলের সদস্যদের মধ্যে ওয়েনগার্টেন ছাড়াও আইনজীবী কারিনা কুফা, সিনেটর নেলসিনো ট্রেড এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত নেস্টর ফস্টারের দেহেও পরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলে।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়েনগার্টেন মিয়ামির মেয়র ফ্রান্সিস সুয়ারেজের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। শুক্রবার সুয়ারেজ জানান, তিনিও ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
ব্রাজিলের ওই প্রতিনিধিদলটি ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্গা, জামাতা জ্যারেড কুশনার ও তার ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিউলিয়ানির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিল।
মার-অ-লগোর ওই বৈঠকে ট্রাম্পের সঙ্গে রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও ছিলেন। সতর্কতার অংশ হিসেবে তিনি নিজেই ‘স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টিনে’ যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।