ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবারও (৭ জানুয়ারি) উত্তাল রয়েছে ক্যাম্পাস। গতকাল সোমবারের মতো আজও ক্যাম্পাসে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সব ছাত্রসংগঠন, শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছেন তারা।
এর আগে গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসে দফায় দফায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীকে গ্রেপ্তারে সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
এ ঘটনায় পৃথক প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন চালিয়ে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্যসহ প্রগতিশীল সংগঠনের নেতাকর্মীরা। হাতে ধর্ষণবিরোধী স্লোগান সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে ক্যাম্পাসে গতকাল সোমবার থেকে টানা অবস্থান নিয়েছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে শিক্ষার্থীরা। রাতভর অবস্থানের পর আজ মঙ্গলবার সকালেও কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠেছে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করে বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্র জোট। তারা ধর্ষণকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয়।
টিএসসি থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শামসুন্নাহার হলের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বর ঘুরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়সহ জোটের নেতারা অংশ নেন।
গতকাল সন্ধ্যার পরও পৃথক ব্যানারে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল, রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদী গান-কবিতা, মোমবাতি মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে মোমবাতি জ্বালিয়ে নিপীড়নবিরোধী পদযাত্রা ও আলোক প্রজ্বালন করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ডাকসু চত্বর থেকে শুরু হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে মোমবাতি প্রজ্বালনের মাধ্যমে শেষ হয়। রাতে ডাকসুর একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় যান।