প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বলেছেন, বিপিসি তথা তেল সেক্টরের নিয়োগ নীতিমালা পরিবর্তন সময়ের দাবী। তাই এর পরিবর্তন করে অস্থায়ী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকুরী স্থায়ী করতে হবে। তিনি শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে বেতন বৈষম্য দুর করার আহবান জানান। তিনি বলেন, তেল সেক্টর চোরের বাজারে পরিনত হয়েছে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের সময় এই চোর সিন্ডিকেট তেল সেক্টরকে ধ্বংস করেছে। তিনি চোর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি আজ নগরীর একটি হলে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, চট্টগ্রাম মহানগরের বিপিসি ওয়েল সেক্টরের উদ্যোগে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেক্টর সভাপতি মোঃ আবু নাঈম সুজন-এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নগর সহ-সভাপতি নজির হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর পতেঙ্গা থানা আমীর মুহাম্মদ সেলিম, ৪০নং ওয়ার্ড আমীর মুহাম্মদ ইউসুফ,বিপিসি অয়েল সেক্টরের সহ সভাপতি এড, শাহাজাহান চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন ও মুহাম্মদ যুনায়েদ চৌধুরী প্রমুখ।
এস এম লুৎফর রহমান বলেন, মানবজাতির মুক্তির একমাত্র পথ ইসলাম। ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য বিপ্লব সাধন করতে হবে। ইসলামী বিপ্লব করার জন্য একদল আদর্শিক কর্মী বাহিনী প্রয়োজন। পৃথিবীতে একটিমাত্র আদর্শ বিদ্যমান। আর এটি হচ্ছে ইসলাম। যা মানবজাতির মুক্তির একমাত্র গ্যারান্টি। যুগে যুগে কিছু ভ্রান্ত মানুষ তাদের মনগড়া রচিত ভ্রান্ত মতবাদ মানবজাতির উপরে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। পৃথিবীবাসী দেখেছে তাদের সেই সকল মতবাদ মানবজাতির ন্যূনতম মুক্তি দিতে পারেনি। এতদসত্ত্বেও আমরা দেখতে পাই এখনো কিছু গোষ্ঠী মানুষের উপর চলা জুলুম নির্যাতনের বিপরীতে সেই বস্তা পচা মতবাদ পুনরায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আশারদিক হল মানুষ তাদের সেই কাল্পনিক মতবাদ এখন আর গ্রহণ করছে না। বরং তারা নিজেদের মুক্তির জন্য পঙ্গপালের ন্যায় ইসলামী আদর্শের দিকে ছুটে আসছে।
তিনি বলেন, ইসলাম কালজয়ী আদর্শ। এই আদর্শ সকল যুগের ও ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। এই আদর্শের কোন ত্রুটি বা বিচ্যুতি নেই। সুতরাং যারা অন্ধকারের কালো মেঘ দূরে ঠেলে একটি আলোকিত সমাজ রাষ্ট্র গঠন করতে চায় তাদের কাছে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন পথ খোলা নেই। তাদেরকে অবশ্যই ইসলামী ছায়া তলে ফিরে আসতে হবে।
এস এম লুৎফর রহমান বলেন, ইসলাম একজন ব্যক্তির সৎ গুনাবলী বিকাশে যেমন তৎপর ঠিক অনুরূপভাবে তার মৌলিক দোষ ত্রুটি সংশোধনের জন্য পথ বাতলে দেয়। এই অনুপম সমন্বয়ের ফলে একজন মানুষ আদর্শিক ব্যক্তিতে পরিণত হন। অপরদিকে যার সুফল পায় পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্র। সোনার মানুষ তৈরির এই পদ্ধতি রাসূল (সা.) এর অনুসৃত পদ্ধতি। আমাদের প্রিয় নবী এই প্রতিটি অনুসরণ করে আরবের আইয়ামে জাহিলিয়াতের অভিশাপ থেকে মানব জাতিকে মুক্তি দিয়েছিলেন। আজকের পৃথিবীতেও রাসূলের দেখানো পথেই মানুষের মুক্তি রয়েছে।
