এবিএম ইমরান:বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বলেছেন, ১৯ শে জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ সফল করার জন্য নগর শ্রমিক কল্যাণের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সমাবেশ দেশের আগামীর পথ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
১৪ জুলাই নগর শ্রমিক কল্যাণ মিলনায়তনে মাসিক থানা ও সেক্টর দায়িত্বশীল সভায় সভাপতির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। নগর সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী-এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি মকবুল আহমদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাব উল্লাহ, অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরন্নবী, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, অফিস সম্পাদক স ম শামীম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মজুমদার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
এস এম লুৎফর রহমান বলেন, জামায়াতে ইসলামী দেশের অতীব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই সমাবেশ আহ্বান করেছে। দেশের মেহনতি শ্রমজীবী মানুষ আগামীর বাংলাদেশ গড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আহূত এই সমাবেশ শ্রমজীবী মানুষের মাঝে উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। শ্রমজীবী মানুষ এই সমাবেশ অংশগ্রহণ করে আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব সৎ দক্ষ ও দেশপ্রেমিক মানুষের হাতে তুলে দিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। আমরা বিশ্বাস করি, জামায়াতে ইসলামীর এই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক জনতা অংশ নিয়ে দেশের রাজনীতির পথ পরিক্রমায় নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একদল পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক নেতাকর্মী অতীতের ফ্যাসিস্ট সরকারের গুন্ডা পান্ডাদের মত চাঁদাবাজি, দখলদারি ও হত্যা সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। দেশের মানুষের কাছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় অত্যন্ত স্পষ্ট। দুঃখজনক হলেও সত্য রাজনৈতিক দলটি তাদের নেতা কর্মীদের সংশোধন না করে উল্টো এসব কর্মকাণ্ডকে অপপ্রচার বলে বৈধতা দিচ্ছে। জুলাই বিপ্লবে দেশের ছাত্র শ্রমিক জনতা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক সংস্কার ও সংশোধন চেয়েছে। আজকে যারা অতীতের নষ্ট রাজনীতির নতুন করে দোকান খুলছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই জনগণ এখন আর বোকা নয়। সুতরাং আপনারা জনগণের মন থেকে উঠে যাওয়ার পূর্বেই নিজেদেরকে পরিবর্তন করুন। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার রাজনীতিতে ফিরে আসুন। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিজেদের আত্মনিয়োগ করুন।
তিনি বলেন, মানুষের হাতে হাতে এখন মোবাইল রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে কোন ঘটনাই এখন আর আড়াল করা সম্ভব না।আজকে যারা পাথর দিয়ে দিন দুপুরে মানুষ খুন করছে। মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেশীয় অস্ত্র, রামদা পিস্তল নিয়ে হামলা করছে। হকার, পরিবহন শ্রমিক, কুলি মজুরদের থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকা জোরপূর্বক আদায় করছে, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট। অপরাধীদের ঘৃণা কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের অপপ্রচার বলে অপরাধীদের আড়াল করবেন না। এতে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দেশের মানুষের কাছে হাসির খোরাক হবেন।
দেশের মানুষ পেশিশক্তি ও সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি আর দেখতে চায় না। তারা এ দেশে সুস্থ ধারার ও আদর্শভিত্তিক রাজনৈতিক চর্চা দেখতে চায়। মানুষের মনের ভাষা বুঝুন। তাদের চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিন। দয়া করে উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অতীতের নষ্ট রাজনীতি পরিহার করে সুন্দর ও সততার পথ আসুন। জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করুন। আগামীর বাংলাদেশ গড়ার জন্য আত্মনিয়োগ করুন।
